মুরগি

নাটোরের নলডাঙ্গায় খাবারের হোটেলে রান্নার জন্য রাখা হয়েছিল ১০ কেজি মরা মুরগি। তবে সচেতন একজন ক্রেতার চোখে ধরা পড়ে যায় সেই অনিয়ম। খবর পেয়ে তৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে হোটেল মালিককে।

পোলট্রি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ উপখাত– ব্রিডার খামার ও হ্যাচারিগুলো বড় সংকটে পড়েছে। এক দিন বয়সী ব্রয়লার, লেয়ার এবং কালার জাতের মুরগির বাচ্চার লাগাতার দর পতনের ফলে হাজার হাজার খামার ও হ্যাচারি এখন আর্থিক ক্ষতির মুখে। এই খাতে গত দুই মাসে ৫৩০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারিরা। 

সারাদেশে ১ মে থেকে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান জানান, গত ১২ মার্চ যশোরের সরকারি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। আমরা যে নমুনা পেয়েছি, তা পরীক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাব। তবে মৃদু আকারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি পোলট্রি খামারকে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে খামারিদের সংগঠনকেও আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি; যাতে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, টিকা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিশ্চিত করেন।

যশোরের একটি মুরগির খামারে শনাক্ত হয়েছে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু। ২০১৮ সালের পর গত ১২ মার্চ বাংলাদেশে এই ফ্লু শনাক্ত হলো। এতে উদ্বেগ বাড়ছে খামারিদের মাঝে।

কিছু লোক বলতে পছন্দ করেন যে, পোল্ট্রি কোম্পানিগুলো মুরগি এবং ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। এটা সত্য নয়। হাজার হাজার খামারি মুরগি ও ডিম উৎপাদন করেন। মুরগির দাম বা ডিমের দাম কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি হলে দাম বেশি হয়।

সপ্তাহ ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা এ জন্য ছুতো বানিয়েছেন বৃষ্টি ও বন্যাকে। তাদের ভাষ্য, পানি জমে থাকায় চাষিরা সবজি তুলতে পারছেন না।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী– কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। তাতে আমিষজাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের বাড়তি দরেই কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। দাম বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে এক পক্ষ দোষ চাপাচ্ছে আরেক পক্ষের ওপর।

মুরগি ও ডিমের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আজ রোববার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দরপতন ঘটেছে। খামারিরা বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে মুরগি বিক্রি করতে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন এ খাতে বিনিয়োগকারী দেশের হাজার হাজার প্রান্তিক খামারি। তবে দুশ্চিন্তা নেই দেশীয় পোলট্রি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মসের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের (কন্ট্রাক্ট ফার্মার)। তারা জানিয়েছেন, কোম্পানি কম দামে মুরগি বিক্রি করলেও উৎপাদন বাবদ আমরা ভালো মুনাফা পাচ্ছি।