মোংলা বন্দর

টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা চারটি জাহাজ থেকে চাল ও সার খালাসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জাহাজগুলোর মধ্যে এমভি হোয়াং-০৯ ও এমভি ট্রাংক-০৮ থেকে চাল এবং এমভি টিবিএস প্রিন্সেস ও এমভি ডিপ ব্লু থেকে সার খালাস বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত অন্য নয়টি জাহাজে কয়লা, ক্লিংকার ও মেশিনারি পণ্যের আংশিক খালাস কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে অবস্থান করা বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি সেঁজুতি’ নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে নাবিকদের হাত-পা বেঁধে টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে ডাকাত দল।

ভারত ৫০ শতাংশ রপ্তাণি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় (চারণকারী প্রাণীদের শক্তির উপকরণ) আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

দুই দেশের সঙ্গে করা জি টু জি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর পাল্টে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

মোংলা বন্দরকে বিশ্বমানের নিরাপদ ও আধুনিক সমুদ্রবন্দরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

পদ্মা সেতু চালুর দুই বছর পরও আশানুরূপ গতি বাড়েনি দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে জাহাজ আসা কিছুটা বেড়েছে। তবে আগের চার অর্থবছরের তুলনায় কম। অথচ পদ্মা সেতু চালুর পর সবার প্রত্যাশা ছিল মোংলা

বাংলাদেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে গুমোট হতে শুরু করেছে বাগেরহাটের আবহাওয়া। আজ রোববার সকাল থেকেই ক্ষণে ক্ষণে কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। এ অবস্থায় মোংলা বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

মোংলা বন্দরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজের পেইন্ট স্টোর থেকে অন্তত ৬৫ ড্রাম রঙ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। জাহাজটির মাস্টার (ক্যাপ্টেন) রঙ উদ্ধারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে ই-মেইলে বার্তা পাঠিয়েছেন। পরে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘আপনি যদি আজ বাংলাদেশে যান, তাহলে দেখবেন দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলছে, বাস চলছে...। প্রথমবারের মতো ভারতীয়দের বাংলাদেশের বন্দরগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (অর্থনীতিতে) বিশাল প্রভাব ফেলবে।’