সংখ্যালঘু

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি বলেছেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং প্রভাবশালী দেশের শীর্ষ সংসদীয় শুনানিতে অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সেক্যুলার সংবাদপত্র ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশের কথিত ধর্মীয় সহিংসতার মামলাগুলো তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সনাতন জাগরণ মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর ভারত গভীরভাবে নজর রাখছে। সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেশটির সরকারের।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে বলে মনে করছেন দেশের অধিকাংশ মানুষ।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, দেশে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সংবিধানসহ ১০টি ইস্যুতে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তবে এসব কমিশনে আদিবাসীসহ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। বৈষম্য বিলোপে রাষ্ট্রের এ উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর কথা বিবেচনায় না নিলে আবারও বৈষম্য হয়ে যায় কিনা, সে বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। সবার ন্যায্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রের সংস্কার করারও তাগিদ দেন তিনি। 

পাঁচ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ দেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র’ নির্মাণের সুযোগ এসেছে বলে সংশ্লিষ্টরা যতই দাবি করুন, বাস্তবতা ভিন্ন বলেই মনে হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু ও ভিন্ন মতাদর্শের ওপর হামলা বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের কণ্ঠে জোর নেই। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক। এর ফলে সুবিধা হচ্ছে স্বৈরশাসকদের, ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের। অবিলম্বে হামলা বন্ধে সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।