বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ
মামলা হলেও ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

ছাত্রলীগ নেতা এসএম জুবায়ের হিমেল
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:০৬ | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:০৬
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, মামলার আসামি ওই ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওই তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান আসামি মৌচাক এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে এসএম জুবায়ের হিমেল (৩০)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- একই এলাকার মো. শাকিল (২৫) ও সবুজ হোসেন (২৮)।
এর আগে শুক্রবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। এ ঘটনায় শনিবার সকালে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেসিক বিভাগে ওই তরুণী ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার এক তরুণী (২২) থানায় এসে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নেওয়ায় তরুণী তার ফেসবুক আইডি থেকে ছাত্রলীগ নেতার বিচার দাবি করে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট দেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার পরিবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এদিকে ভিডিও বার্তাটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে এলে আগের অভিযোগটি পাল্টে নতুন করে আরেকটি অভিযোগ নিয়ে আরো দুইজনকে যুক্ত করে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন বছর আগে হিমেলের সাথে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে হিমেল। একইসঙ্গে তরুণীর কাছ থেকে কৌশলে প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের একটি আইফোন নিয়ে যায়।ওই তরুণী মামলায় আরো উল্লেখ করেন, গত ৪ জানুয়ারি হিমেলের সহযোগী শাকিল ও সবুজের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হিমেলকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান, ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।