ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মিয়া

কিশোরগঞ্জ অফিস

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২২ | ২২:৩৮ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ | ২২:৩৮

কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় রুবেল মিয়া (২৩) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কিরণ শংকর হালদার তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার সকালে সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট অশোক সরকার। কনস্টেবল রুবেল কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি কনস্টেবল পদে পুলিশে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দক্ষিণে কর্মরত বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী ওই তরুণী (১৭) জানান, আসামি রুবেল এবং তিনি পরস্পরের আত্মীয়। সেই সুবাদে রুবেলের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হত। স্কুল থেকে আসা-যাওয়ার পথে তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতেন রুবেল। বিষয়টি জানালে রুবেলকে নিষেধ করেন তরুণীর বাবা। একপর্যায়ে রুবেলের বাবা স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় বিয়েতে রাজি হননি তারা। তখন স্থানীয় মুরুব্বি ও তাদের আত্মীয়স্বজন বসে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাদের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে রুবেল তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন।

তিনি জানান, গতবছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রুবেল তাদের বাড়িতে আসেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তাদের বাড়িরই একটি কক্ষে থেকে যান তিনি। রাত ১০টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে মেয়েটিকে কক্ষে ডেকে নেন রুবেল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্পের একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে কাউকে কিছু না বলে চলে যান রুবেল। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। কিছুদিন পর তারা জানতে পারেন রুবেল করিমগঞ্জ উপজেলার এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন।

এ ব্যাপারে গতবছরের ৪ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালে রুবেলকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই তরুণী।

তরুণীর বাবা বলেন, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে এই বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি হয় তাদের মধ্যে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরে রুবেলের বাবা মেয়ের সুখের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন। চুক্তিপত্র শেষে নগদ দেড় লাখ টাকাও নেন তারা। তিনি রুবেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

আরও পড়ুন

×