ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রুমায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত তৌহিদুলের শরীরে ৩০টি গুলির দাগ

রুমায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত তৌহিদুলের শরীরে ৩০টি গুলির দাগ

পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সেনাসদস্য তৌহিদুল ইসলাম সাগর

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩ | ১৬:৪২ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ | ১৬:৪২

পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সেনাসদস্য তৌহিদুল ইসলাম সাগরের পরিবারের স্বজনদের কান্না থামছে না। তৌহিদুলের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজশাহীর বাগমারায় নিজ গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। জানাজার আগে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যদের সশস্ত্র হামলায় সেনাবাহিনীর এই সৈনিক নিহত হন।

রাজশাহীর বাগমারার নরদাস গ্রামের কৃষক মহসীন আলীর ছেলে তৌহিদুল। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ২০২১ সালে যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের বুলেট সে স্বপ্ন কেড়ে নিল। এ ঘটনায় শোকে নির্বাক তাঁর মা-বাবা।

তাঁর শরীরে সন্ত্রাসীদের ছোড়া অন্তত ৩০টি গুলি ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন নরদাস ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার আবুল।

বাবা মহসীন আলী কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘আমরা গরিব। অনেক আশা নিয়ে ছেলে সেনাবাহিনীতে গিয়েছিল। কিছুই হলো না।’

মা নাসিমা বেগম বারবার বলছেন, ‘ছেলেকে ছাড়া আমি কীভাবে বাঁচব? আমি কোথায় যাব?’

দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট ছিলেন তৌহিদুল। বড় বোন মৌসুমী আক্তারের বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। মৌসুমী বলেন, ‘সংসারে অভাব-অনটন লেগেই ছিল। ছোট ভাই চাকরি পাওয়ার পর আশা ছিল, অভাব-অনটন দূর হবে। ভাই ধুমধাম করে বিয়ে করবে। কিছুই হলো না। আমাদের দেখার আর কেউ থাকল না।’

গ্রামের বাসিন্দা সলিমুদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও জালাল উদ্দীন বলেন, তৌহিদুল বেশ শান্ত স্বভাবের ছিল। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। এখন দেশের জন্য সে শহীদ হয়েছে। আমাদের গর্ব আরও বেড়ে গেল।

বাগমারার নরদাস ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার আবুল বলেন, ‘তৌহিদুলের শরীরে ৩০টির মতো গুলির দাগ ছিল। দেশ রক্ষা করতে গিয়ে সে শহীদ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। এই পরিবারটির যে কোনো বিপদ-আপদে আমরা পাশে থাকব।’

আরও পড়ুন

×