কিস্তির টাকা চাওয়ায় এনজিও কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ | ০৩:২৬
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া ভাওয়ালীপাড়া এলাকার আসাদুজ্জামানের বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে রেজাউল করিম নামের ওই ব্র্যাককর্মীর লাশ উদ্ধার করে। তিনি পাবনার ভাঙ্গুরিয়া থানাধীন চৌগাছা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে।
রেজাউল হত্যায় গ্রেপ্তার শাহিন আলীর বাড়ি রাজশাহী জেলার চরঘাট থানাধীন অনুপমপুর গ্রামে। তিনি ভাওয়ালীপাড়ার ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন।
ব্র্যাকের সাভার সদর শাখার কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বৃহস্পতিবার রাতে সমকালকে বলেন, শাহিন আলী তাঁদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা কিস্তি ছিল। ওই টাকা আদায়ের জন্যই গিয়েছিলেন মাঠকর্মী রেজাউল আলম।
পুলিশ জানায়, রেজাউল মঙ্গলবার শাহিনের কাছে কিস্তির টাকা আনতে যান। তিনি (শাহিন) বুধবার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে অনুযায়ী রেজাউল ওই বাসায় গেলে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে শাহিন তাঁকে মারধর শুরু করেন। বেধড়ক পিটুনির সময় অণ্ডকোষে লাথি লাগলে রেজাউল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
শাহিন সুযোগ বুঝে রেজাউলের মরদেহ নিজ কক্ষ থেকে বের করে বাড়ির সিঁড়ির নিচে রেখেন। এ সময় রেজাউলের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়। সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শাহিনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তাঁর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় দেখতে পান পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে তিনি রেজাউলকে হত্যা ও তাঁর কাছ থেকে টাকা লুটের কথা স্বীকার করেন।
- বিষয় :
- কিস্তি
- ব্র্যাক
- হত্যা
- এনজিও
- পোশাক শ্রমিক
- পোশাককর্মী