এ. কে. আজাদের পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা

ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৫০ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৫০
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী এ. কে. আজাদের ভাগ্নে ফারুকুজ্জামান লিয়ন এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মঙ্গলবার বিকেলে সাধারণ ডায়েরি করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ গেরদা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ফরিদপুর-৩ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী এ. কে. আজাদের ছবিসংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন কে বা কারা ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুর ধারণা, ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ফকিরের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ওই ইউনিয়নের সিএনবি ঘাটসংলগ্ন আইজউদ্দিন মাতব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থান থেকে রাতের বেলা আবু ফকিরের লোকজন এ. কে. আজাদের কয়েকটি ফেস্টুন খুলে নিয়ে যায়।
পার্শ্ববর্তী নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গীর বাসিন্দা আফসার হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেনের ভাগ্নে রায়হান ও তার সহযোগীরা পোস্টারগুলো ছিঁড়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল বলেন, ফরিদপুরের গেরদাসহ কয়েকটি এলাকায় এ. কে. আজাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে শ্রমিক নেতা গোলাম মো. নাছিরের নেতৃত্বে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রসুল তানিয়া বলেন, রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকতে পারে, তবে কোনো সম্মানিত ব্যক্তির ব্যানার ছেঁড়া বা নষ্ট করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। এ. কে. আজাদকে অসম্মানিত করার জন্য কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবিও ছিঁড়েছেন। তারা কীভাবে আওয়ামী লীগের সৈনিক হতে পারেন? তিনি বলেন, ফরিদপুরবাসী এত বোকা নয় যে এ. কে. আজাদের ছবি দেখতে না পেয়ে তাঁকে ভুলে যাবেন। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে স্থায়ী আসন গড়েছেন।
আওয়ামী মোটর শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি জামালউদ্দীন কানু বলেন, ফরিদপুরের গর্ব, কৃতী সন্তান এ. কে. আজাদের পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া ব্যক্তিদের ধিক্কার জানাই। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করছি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, বিষয়টি জানার পর থেকে প্রতিটি স্পটে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।