কারাগারের কালভার্টে মিলল কারারক্ষীর মরদেহ

কারারক্ষীর মরদেহ দেখতে মানুষের ভিড়। ছবি: সমকাল
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:১৫ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:১৫
নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর বগুড়া জেলা কারাগারের একটি কালভার্টের নিচে থেকে একরামুল হক (৪৫) নামের এক কারারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারাগারের ২ নম্বর ফটকের সামনের নর্দমা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরনে কারারক্ষীর পোশাক ছিল।
কারারক্ষী একরামুল নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কান্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত একরামুল বগুড়া জেলা কারাগারের ২ নম্বর ফটকে দায়িত্বে ছিলেন। রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আরেক কারারক্ষী মামুন হোসেনের সেখানে দায়িত্বে থাকার কথা ছিল। তবে মামুনের দাবি, অসুস্থতার জন্য তিনি ওই গেটে দায়িত্ব পালন করতে যাননি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মামুনকে আবারও ওই গেটে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠানো হয়। এ সময়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা দুপুর ২টার দিকে ব্যারাকে একরামুলকে না পেয়ে বগুড়া কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে বিষয়টি জানান। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কারারক্ষী মামুন জেলা কারাগারের ২ নম্বর গেটের সামনে নর্দমার একটি কালভার্টের নিচে একরামুলের মরদেহ ভেসে থাকার কথা জানান। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত একরামুল শ্যালক রবিউল ইসলাম বলেন, একরামুলের কোনো রোগ ছিল না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ নম্বর ফটকে দায়িত্বে থাকা মামুন হোসেন বলেন, ‘বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ডিউটি বণ্টনকারী কর্মকর্তাকে জানিয়ে আমি বিশ্রামে যাই। রাতে ফটকে আমি আসিনি, এজন্য কিছু বলতে পারছিনা। আজ দুপুরে ফটকে দায়িত্ব পালন করতে গেলে একরামুলের মরদেহ দেখতে পেয়ে অফিসে জানাই।’
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, ‘সদস্যরা ডিউটি করে সাধারণত ব্যারাকে চলে যান। দুপুরে তার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারি। এর কিছুক্ষণ পরেই একরামুলের মরদেহ ভেসে উঠার খবর পাই।’
তিনি আরও বলেন, মামুন ফটকে দায়িত্বে যাননি বিষয়টি রহস্যজনক। ছুটি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তার দায়িত্বে অনুপস্থিতির বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। মামুনের দাবি ও একরামুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
বগুড়া জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, কারারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এনামুলের মাথায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।