যুবদল নেতাকে দিনে পিটিয়ে রাতে ধরিয়ে দিল পুলিশে

আহত যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া। ছবি: সমকাল
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১১:৫০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১৫:১২
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়াকে দিনে পিটিয়ে রাতে পুলিশে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে বেলকুচির মুকুন্দগাঁতীতে পেটানো হয় তাঁকে। পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা ও তাঁর সঙ্গী আলামিন হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মারধরের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিলেও গ্রেপ্তারের ভয়ে চলে যান কিবরিয়া। রাতে চন্দনগাঁতীর বাড়ি থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন মাসুদ ও আলামিন। তাঁকে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর অভিযোগ, সরকারি দলের ইন্ধনে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে নির্যাতন-হয়রানি করছে পুলিশ। প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ এতদিন তাঁকে খুঁজে পায়নি। মহাসমাবেশে আসার পথে সরকারদলীয়রা কিবরিয়াকে পিটিয়েছে। রাতে পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। ‘পুলিশ ও সরকারি দলের সখ্য’ ন্যক্কারজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, যুবদল নেতা কিবরিয়াকে মারধর ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি অবগত নন তারা। ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমানের ভাষ্য, দুটি নাশকতা মামলায় কিবরিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে মারধরের বিষয়ে থানায় অভিযোগ নেই। পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, গ্রেপ্তারের বিষয়ে উপজেলা থেকে তাঁকে তথ্য দেওয়া হয়নি।
মাসুদ রানা ও আলামিন দলের নাম ভাঙিয়ে বেলকুচিতে চাঁদাবাজি করছেন উল্লেখ করে পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, কিবরিয়াকে তারা মেরেছেন বলে তিনিও শুনেছেন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ বলেন, মাসুদ রানার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে পৌর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
মাসুদ রানা ও আলামিনের চাঁদাবাজি এবং উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে দলও বিব্রত বলে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আশানুর বিশ্বাস। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাসুদ রানা ও আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাসুদের ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি শাহিন রেজাও ফোন রিসিভ করেননি।