জাফলং যেন আরেক সাজেক ভ্যালি

পর্যটক আকর্ষণে জাফলংয়ে হচ্ছে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালির আদলে কটেজ সমকাল
মুকিত রহমানী, সিলেট
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩:৫৩
খায়রুল মিয়া, পেশায় পাথর ব্যবসায়ী। সিলেটে স্থানীয়ভাবে অনেক জমিজমা ছাড়াও রয়েছে একাধিক পাথর ভাঙার মিল। কিন্তু কয়েক বছর পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় খায়রুলের ব্যবসায় এসেছে ছন্দপতন। এখন ঘুরে দাঁড়াতে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলং এলাকার সোনাটিলার এ বাসিন্দা পর্যটকদের আবাসন তৈরি করছেন। গত ডিসেম্বর থেকে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালির আদলে নির্মাণ করছেন কটেজ। মুন্সীগঞ্জ থেকে কাঠের ঘর কিনে সোনাটিলা বিজিবি ক্যাম্পের পাশে স্থাপন করছেন। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে যাতে পর্যটকরা এসে কটেজে রাত কাটাতে পারেন, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খায়রুল সমকালকে বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। মাথায় চিন্তা আসার পর সাজেক ভ্যালির আদলে কটেজ নির্মাণে মুন্সীগঞ্জ থেকে কাঠের ঘর এনেছি। ঈদেই কটেজের যাত্রা শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি।
খায়রুলের দেখাদেখি পার্শ্ববর্তী এলাকায় আরেক পাথর ব্যবসায়ী রহমত আলী একই আদলের রিসোর্ট নির্মাণ করছেন। লোকসানে থাকা অনেক পাথর ব্যবসায়ী নতুন করে বাঁচার জন্য পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করছেন।
সরেজমিন জাফলং পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় জাফলং গ্রিন রিসোর্ট, হোটেল জাফলং পয়েন্ট ছাড়াও সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কে কিছু হোটেল ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। গত কয়েক বছরে গতানুগতিক ধারায় গড়ে ওঠা এসব হোটেল-মোটেলের বাইরে সাজেক ভ্যালির আদলে কটেজ নির্মাণ করেন ব্যবসায়ী খায়রুল। জাফলং পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় সোনাটিলা বিজিবি ক্যাম্পের পাশে নির্মাণাধীন পাঁচটি কটেজের প্রতিটিতে দুই থেকে চারজন থাকতে পারবেন। ঘরগুলোর মধ্যে দুটি দোতলার। কটেজের সামনে ও পাশে বাগান করা হচ্ছে। তবে এ রিসোর্টের এখনও নামকরণ করা হয়নি।
পাশে একই আদলে আরেকটি রিসোর্টের কাজ শেষ করেছেন ব্যবসায়ী রহমত আলী। সেখানে খাট ও বিছানা বসানো হয়েছে। ১৬টি কক্ষ রয়েছে রিসোর্টের কটেজে। রহমত আলী সমকালকে বলেন, একসময় পাথর ব্যবসা করতাম। লোকসান দিতে দিতে পুঁজি প্রায় শেষ। বাকি পুঁজি দিয়ে খায়রুল মিয়ার দেখাদেখি সাজেক আদলের রিসোর্ট করেছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, শতকরা ১০ জন হোটেল বা কটেজ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। বাকি ৯০ ভাগের দিন কাটছে কষ্টে।
পর্যটকদের জন্য সাজেক ভ্যালি আদলের কিংবা যে কোনো হোটেল-মোটেলের জন্য বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করার কথা জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজিত কুমার চন্দ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।
- বিষয় :
- জাফলং