কটূক্তি সইতে না পেরে বিষপান নবদম্পতির

প্রতীকী ছবি
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪ | ২০:২৬
পরিবারকে না জানিয়ে এক মাস আগে বিয়ে করেন সাজেদুল ইসলাম (২১) ও রিয়া খাতুন (১৯)। মেয়ের পরিবার মেনে না নিলেও ছেলের পরিবার পরে বিষয়টি মেনে নেয়। শ্বশুরবাড়িতে সুখেই ছিলেন রিয়া। এর মধ্যে রোববার তাঁর এক দূরসম্পর্কের নানি সাজেদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁকে কটূক্তিমূলক নানা কথা বলেন। এতে অপমানবোধ করেন সাজেদুল ও রিয়া; বিষপান করেন একসঙ্গে। হাসপাতালে নেওয়ার পর রিয়ার মৃত্যু হয়। সাজেদুল এখনও চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে। মৃত রিয়া একই ইউনিয়নের আজিজলতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে। সাজেদুল চরগড়গড়ির আজতব প্রামাণিকের ছেলে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, রোববার দুপুরে রিয়ার এক চাচির মা ভানু বেগম সাজেদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি নানা কটূক্তিমূলক কথা বলেন এবং থুতু ফেলে তাদের ভালোবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। সাজেদুল বাড়ি ফেরার পর বিষয়টি জানিয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন রিয়া। অপমানে আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। সাজেদুল দোকান থেকে দুই বোতল কীটনাশক কিনে বাড়ি ফিরে দু’জনেই তা পান করেন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে সেখানেই রিয়ার মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজেদুলের গতকাল বিকেল পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি। ময়নাতদন্তের পর রিয়াকে শ্বশুরবাড়ির গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
সাজেদুলের বাবা আজতব প্রামাণিক বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে রিয়ার দেওয়া ভাত খেয়ে আমি মাঠে কাজে যাই। আমার মেয়ে অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় রিয়ার শাশুড়ি। এই ফাঁকে সব ঘটে গেছে। আমার ছেলের অবস্থা ভালো না।’
ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনা তদন্ত করতে চরগড়গড়ি গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।