ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

খুলনা জেলা পরিষদ

সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার যমুনা টিভির সাংবাদিক

সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার যমুনা টিভির সাংবাদিক

সাংবাদিক রাশেদ নিজামের ওপর হামলার সময়ের দৃশ্য। ছবি: যমুনা টিভি

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ২২:৪৭

খুলনা জেলা পরিষদে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে শারীরিকভাবে হামলার শিকার হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম। সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এবং খুলনা সদর থানায় জিডি করেছেন সাংবাদিক রাশেদ নিজাম।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, খুলনার চুকনগরে জেলা পরিষদের জমিতে একটি মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে দোকান বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান জড়িত বলে জানতে পারি। আমি ক্যামেরাম্যানসহ জেলা পরিষদে তাঁর কক্ষে সাক্ষাৎকার নিতে যাই। এ সময় মাহবুবুর রহমান উত্তেজিত হয়ে আমাকে এবং আমার ক্যামেরাম্যানকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেন এবং ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি এবং আমার টিমের লোকজন সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

রাশেদ নিজাম বলেন, আমরা মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম, প্রশ্ন করছিলাম। তার কাছে যখন দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চেয়েছি, তখন তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক কিছু কাগজপত্র নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করছিলেন। হঠাৎ ক্যামেরাম্যান আমার দিকে ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেয়। আমি বললাম, আমার দিকে ক্যামেরা দিয়েন না, আমি পঞ্চম গ্রেডের অফিসার। আমার উপরে আরও চার কর্মকর্তা আছেন। চেয়ারম্যানের অনুমতি না নিয়ে আমি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে পারি না। আপনি চেয়ারম্যানের কাছে যান, তিনি অনুমতি দিলে আমি উত্তর দেবো। তখন তাঁকে এবং ক্যামেরাম্যানের হাতটা ধরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাঞ্চিতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা রশীদ বলেন, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×