ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহ সীমান্তে পাচারকারী আটক, তিন নারী উদ্ধার

ঝিনাইদহ সীমান্তে পাচারকারী আটক, তিন নারী উদ্ধার

ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪ | ১৯:৪৪

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। তাদের ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল একটি চক্র। তাদের দিকে গুলি বর্ষণের পর চক্রের ভারতীয় এক সদস্যকে আটক করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তের হুদাপাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মোল্লা ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তের ৬০/২৯ আর সীমান্ত পিলার থেকে বাংলাদেশের ৫০০ গজ ভেতরে হুদাপাড়া এলাকা দিয়ে তিন বাংলাদেশি নারীকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল একটি চক্র। এমন তথ্য পেয়ে ওই এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় বিজিবির টহল বাড়ানো হয়। পরে ওই এলাকায় তিন নারীর অবস্থান নিশ্চিত হন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর সীমান্তের শূন্য লাইন এলাকা থেকে কিছু মানুষ সংকেত পাঠাতে থাকে। নারীরা তাদের সংকেত না বুঝতে পারলে পাচারকারী ব্যক্তি বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে থাকা নারীদের কাছে চলে আসে। এর পর বিজিবি তাদের আটকের চেষ্টা করলে ওই নারীদের নিয়ে পাচারকারী ভারতের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা পাচারকারীকে লক্ষ করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এ সময় ভারতীয় নাগরিক বিকাশ সরকারকে আটক করে তিন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়। বিকাশ সরকার পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কল্যাণী থানার মাঝেরচর কল্যাণী গ্রামের রায়মোহন সরকারের ছেলে। উদ্ধার তিন নারীর মধ্যে দু’জনের বাড়ি নড়াইল ও একজনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়।

উদ্ধার এক নারী জানান, ঝিনাইদহে ভালো কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁর এলাকার এক ব্যক্তি তাদের নিয়ে আসে। পরে এক বাসায় আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। এর পর শনিবার তাদের ঝিনাইদহ নিয়ে আসে। কয়েক দফায় হাত বদলের পর সীমান্তের একটা বাগানে রেখে দেয়। সন্ধ্যার দিকে তারা ‘কিছু একটা হবে’ বলে টের পান। তখন এক ব্যক্তি এসে ‘পালাও, পালাও’ বলে চিৎকার করে। বিজিবি সদস্যরা তাদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিকাশ সরকার মানব পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে নারী ও মানব পাচারে জড়িত। মহেশপুর থানায় মামলার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধার তিন নারীকে পরিবারের কাছে পাঠানোর জন্য যশোরের সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের প্রতিনিধির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 

আরও পড়ুন

×