ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত

গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত

প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৭:৪১

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সতীশ রায় ঠাকুর (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।

মঙ্গলবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের মহিষতলী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সতীশ রায় ঠাকুর ওই গ্রামের প্রয়াত শরৎ রায় ঠাকুরের ছেলে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মুস্তফা কামাল ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বকুল সরদার জানান, মহিষতলী গ্রামে সড়কের পাশে সুদীপ্ত মৌলিকের গ্যারেজ। গ্যারেজের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ওই এলাকার রায়বাড়ি ও মণ্ডলবাড়ির কয়েকটি ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তিন দিন আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই বিদ্যুৎ লাইনের একটি তার ছিঁড়ে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সদস্যরা তারের সংযোগ দিলে বিদ্যুৎ সচল হয়। তবে রায়বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। পরে রায়বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, গ্যারেজের মালিক সুদীপ্ত মৌলিক তাঁদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের তারটি কেটে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রায়বাড়ির লোকজন সুদীপ্তের কাছে তাঁদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের তার কেন কেটেছে তা জানকে চান। এ নিয়ে সুদীপ্তের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে সতীশ রায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। এ সময় ৫ জন আহত হন। 

মুকসুদপুর থানার ওসি বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা কোনো মামলা হয়নি।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, সতীশ রায় ঠাকুরকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।

আরও পড়ুন

×