পাঁচ দিন পর মৃত্যু দগ্ধ স্ত্রী-শ্যালকের
সাটুরিয়া থানায় মামলা স্বামী গ্রেপ্তার

ছবি: ফাইল
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০৪:১১
স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার শারমিন আক্তার মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কাছাকাছি সময়ে মারা গেছেন শারমিনের ছোট ভাই রুবেল মিয়াও। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার পশ্চিম গওলা গ্রামে শারমিনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তাঁর স্বামী হাসান আলী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন রুবেল ও শারমিনের চাচি শিরীন আক্তার।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১০ বছর আগে পশ্চিম গওলা গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়ে ঢাকার ধামরাই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলীর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিল। শারমিনকে তাঁর স্বামী প্রায়ই অমানবিক নির্যাতন করত বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে বেশ কয়েকবার বাবার বাড়িতেও পালিয়ে আসেন তিনি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্বামী হাসান আলীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শারমিন আক্তার। এ সংবাদ শুনে শুক্রবার সকালে হাসান আলী শ্বশুরবাড়ি আসে। সেখানে স্ত্রীকে না পেয়ে একই এলাকায় অবস্থিত চাচাশ্বশুরের বাড়িতে খুঁজতে যায়। ওই বাড়িতে ঢুকে হাসান তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় শারমিনের চাচি শিরীন আক্তার ও ছোট ভাই রুবেল মিয়া তাঁকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় তাদের শরীরেও আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় হাসান। তিনজনের সারা শরীরই আগুনে ঝলসে যায়।
প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করেন। সেখানে মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান শারমিন ও তাঁর ভাই রুবেল। এ ঘটনায় শারমিনের অপর ভাই শামীম বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি হাসান আলীকে তারা গ্রেপ্তার করেছেন।
- বিষয় :
- বার্ন ইনস্টিটিউট