ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর রাকসু নির্বাচন: রাবি উপাচার্য নকীব

ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর রাকসু নির্বাচন: রাবি উপাচার্য নকীব

ফাইল ছবি

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০২:১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বা রাজনীতির বিরুদ্ধের বিষয়ে যে মতামত তৈরি হয়েছে, এগুলো আমার কাছে মনে হয় না রাজনীতির বিরুদ্ধে মতামত। সেটা অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মতামত। দীর্ঘদিন ধরে যে রাজনৈতিক চর্চা ছিল, সেটাকে আসলে রাজনীতি বলা যাবে না। সেটা মাফিয়াতন্ত্র ও সিন্ডিকেট। রাজনীতির নামে যা হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা ক্যাম্পাসের অরাজনৈতিক, রাজনৈতিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসব। সবকিছু নিয়ে আমরা একটা ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করাতে চাই। তারপরেই আমরা সোজা রাকসুর (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) দিকে মুভ করব। আমি এ বিষয়ে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) থেকেই একটা শক্তিশালী যৌন নিরাপত্তা সেল কাজ শুরু করবে। আমরা কোনো মানুষের অনর্থক অসম্মান যেমন চাই না, তেমনি কেউ যদি এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে অবশ্যই তাকে এর ফল ভোগ করতে হবে।’‌

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট নিরসনে প্রশাসনের ভূমিকা প্রসঙ্গে উপাচার্য নকীব বলেন, ‘অনিবার্যকারণে যে সেশন জটের সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারে একটা সভা হয়েছে। সেখানে গুরুত্বের সঙ্গে সেশন জট কমানোর বিষয়টি দেখা হয়েছে। বিভাগগুলোকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বানিয়ে প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আবাসিক হলের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দের বিষয়টি বিধিবদ্ধ নিয়মে করার প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়া হলে খাবারের মান উন্নয়নের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ হল প্রশাসনের সঙ্গে মিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রসঙ্গে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘কিছু প্রকল্পে সীমিত পরিসরে কাজ চলছে, আবার কিছু জায়গায় বন্ধও রয়েছে। কোনো নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রশ্ন উত্থাপিত হলে তা যাচাই-বাছাই করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া কামারুজ্জামান হলের দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আমরা পুনরায় বসব।’

ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দোকানে ছাত্রদের বাকি খাওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক নকীব বলেন, ‘এটি একটি উপসর্গ, কোথাও অপরাজনীতি চলতে থাকলে এটি থাকে। যেখানে অপরাজনীতি নেই সেখানে বাকি খাওয়ার কোনো কালচারও নেই। একটা বিপ্লবের পর মানুষ রাতারাতি তার স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না। কিছু কিছু শুভ পরিবর্তন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।‘

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×