ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষোভ

শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার 

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:৪০

সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।   সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ফারুকনগর ইসমাইল ব্যাপারী হাইস্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম রবিউস সানী ওরফে শিপু (২২)। তিনি ধামসোনা ইউনিয়নের নতুনগর এলাকার বাসিন্দা এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী। তাকে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মেহেদি হাসান ওরফে হিরু, আওয়ামী লীগ কর্মী মো. আব্দুর রহিম এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কর্মী মো. শান্ত।

আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পেটে গুলিবিদ্ধ হন রবিউস সানী। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনিসহ আরও দুই বন্ধু এলাকার ফারুকনগর ইসমাইল ব্যাপারী হাইস্কুল মাঠে বসে ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী শান্ত ও আওয়ামী লীগ কর্মী রহিম তাদের মাঠ থেকে চলে যেতে বলেন।

একপর্যায়ে মেহেদি হাসান সেখানে উপস্থিত হয়ে রবিউস সানী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে মারধর শুরু করেন। পরে রবিউস সানীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহত রবিউস সানী বলেন, আমি অসুস্থ। আন্দোলনের সময় আমার পেটে গুলি লাগে। বাড়ি থেকে তেমন বের হই না। রাতে এলাকার স্কুল মাঠে গেছিলাম। আমি ওই এলাকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। সেই ক্ষোভ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাকে পিটিয়েছে। আমি তাদের বলি, আমাকে মারিস না আমার পেটে গুলি লেগেছে। তাও ছাড়েনি ওরা।

ঘটনা জানার পর গতকাল রাত দুইটার দিকে এনাম মেডিকেলে হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে দেখতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীকে মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি।

এনাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইয়াসিন বলেন, রবিউস সানীকে মারধর করা হয়েছে। তিনি কানের পর্দায় আঘাত পেয়েছেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখনো তারা লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ দেননি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর আইনি সহযোগিতা নিশ্চিত করা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×