ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নোয়াখালীতে মধ্যরাতে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

নোয়াখালীতে মধ্যরাতে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

ছবি: সমকাল

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:০৩

সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মধ্যরাতে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরকাউনিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. আব্দুস শহীদ মাস্টার (৫২)। তিনি একই উপজেলার উত্তর শুল্লুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান রাসেল (৩০) দক্ষিণ চরকাউনিয়া গ্রামের মৃত আনোয়ারুল হকের ছেলে।

খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ রাতেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্বজন মাহমুদুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহীদ মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালায় ১০-১৫ জন যুবক। একপর্যায়ে হামলাকারীরা আমার মামী জান্নাতুল ফেরদাউস (৪০) ও তার ছেলের বউ জুলফা আক্তারকে (২০) গাছের সঙ্গে বেঁধে ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমার মামা বাধা দিতে চাইলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে রান্নাঘর পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং বসত ঘরেরও কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। ওই সময় রাসেল নামে একজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত রাসেল জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটায়। গণপিটুনির শিকার রাসেল ও আহত মাস্টার শহীদ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত রাসেলের স্বজনরা এই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।  

সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সস্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। জমি নিয়ে আদালতে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভুক্তভোগী পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×