ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গালি দেওয়ায় হত্যা করা হয় সালমাকে, আসামির স্বীকারোক্তি

গালি দেওয়ায় হত্যা করা হয় সালমাকে, আসামির স্বীকারোক্তি

প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬:১০

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক নারীর হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আরিফ শেখ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন জানান, গত ১ নভেম্বর গোবিন্দপুর গ্রামের একটি লেবু বাগান থেকে সালমা আক্তার নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সালমার বাবা সৈয়দ আলী মণ্ডল বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেন। মামলার পর রাজবাড়ীর ডিবি পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে জানতে পারেন আরিফ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। শুক্রবার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আরিফের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকার সাভার এলাকার গেন্ডা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ সালমাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

আরিফ পুলিশকে জানান, সালমার আচার-আচরণ ছিল উগ্র স্বভাবের। সালমার বাড়ির সীমানায় থাকা রাস্তা দিয়ে কেউ চলাচল করলে তাকে বকাবকি করতেন। টিউবওয়েল থেকে পানি নিতে গেলেও খারাপ ব্যবহার করতেন। এসব কারণে আরিফের পরিবারে সবসময়ই অশান্তি লেগে থাকত। ঘটনার দিন সালমার বাড়ির সীমানা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সালমা তাকে গালি দেন। পাল্টাপাল্টি গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনি (আরিফ) সালমার গলা চেপে ধরে অজ্ঞান করেন। পরে সালমার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে লেবু গাছের সঙ্গে পেঁচিয়ে দেন। গ্রেপ্তার আরিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সালমা হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করে। স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ায় মামলা মোকাদ্দমার কারণে হত্যা হয়েছে, নাকি সালমার সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে– এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছিল। কিন্তু কোনভাবেই ক্লু পাওয়া যায়নি। হঠাৎ তারা জানতে পারেন ওই এলাকায় আরিফ নামে একজন দীর্ঘদিন ধরে নেই। বিষয়টি তারা আমলে নেন। ওই আরিফের স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে জানান ঘটনার একদিন আগে তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছে। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের দিনও আরিফ এলাকায় ছিলেন। হত্যার পর থেকে তিনি এলাকায় নেই। এতে তাদের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মাঝে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী, রাজবাড়ীর ডিবি ওসি মফিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×