সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে তদন্ত করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গভীর রাতে সচিবালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা কোনো মামুলি দুর্ঘটনা নয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সক্ষমতা প্রয়োগ করে এর তদন্ত করতে হবে। এই তদন্তের মাধ্যমেই বের করতে হবে আমাদের নিরাপত্তায় কোথায় সংকট হচ্ছে। কারণ সচিবালয়ে আগুন লাগা আসলেই কোনো হালকা ঘটনা নয়। সরকারকে বলবো এ তদন্ত যেন অন্য সব তদন্তের মতো হারিয়ে না যায়।

শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে জেলা গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক গণ সংলাপে তিনি এসব বলেন।

জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সাধারণ মানুষের যত দাবি-দাওয়া উঠছে তার ন্যায্যতা বিচার করে যত দ্রুত সম্ভব সমাধান দেওয়া যায় সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে। বাজারে দ্রব্যমূল্য কমছে না। দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু কেন বাড়ছে এই প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে। সরকারকেই এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সরকারের চার মাসের ওপর সময় পার হয়েছে, এখন মানুষ দেখতে চায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী কাজ করছে।

তিনি বলেন, ৫৩ বছরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার জন্য দায়ী যারা, এ সময় ক্ষমতায় এসেছেন প্রত্যেকেরই কম বেশি দায় আছে। তাই আমাদেরকে নতুন রাজনীতির শক্তির গড়ে তোলা দরকার।

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংলাপে বক্তব্য দেন, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহের হোসেন বাবুল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ডা. মোসলেহ উদ্দিন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এনায়েত মজুমদার, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান লিটনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা আহবায়ক ইমরাদ জুলকারসাইন ইমন। গণসংলাপে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।