ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মা-ছেলের মৃত্যুতে বিয়ে বাড়িতে বিষাদের ছায়া

মা-ছেলের মৃত্যুতে বিয়ে বাড়িতে বিষাদের ছায়া

নিহত রেশমা বেগমের পরিবারের স্বজনরা। ছবি: সমকাল

কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০০:১০

‘আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে আসছিলেন বোন রেশমা বেগম। পথেই সব কিছু কেড়ে নিল বাস। বোন মারা গেল, সঙ্গে আমার ভাগনে আব্দুল্লাহও। তাদের নিথর দেহ এলো বাড়িতে। মুহুর্তেই বিয়ের আনন্দে মুখর বাড়িতে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।’

শনিবার শোকে কাতর নিহত রেশমার ছোট বোন পুতুল আক্তার বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন।

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামে মালেক ঘরামির বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। ছোট মেয়ে পুতুল আক্তারের সঙ্গে পাশের মাইজপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শুক্রবার মোটরসাইকেলযোগে ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে স্বামী-সন্তানসহ মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন রেশমা বেগম। এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেল থামিয়ে টোল দিচ্ছিলেন স্বামী সুমন মিয়া। ঠিক তখনই পেছন থেকে একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে চাপা দেয় তাদের। শুক্রবার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু আব্দুল্লাহ। পরে মারা যান রেশমা আক্তার।

মৃত্যুর খবর মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামে মালেক ঘরামির বাড়িতে পৌঁছালে বিয়ে বাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই থমকে যায়! শুরু হয় শোকের মাতম।

নিহত রেশমার স্বামী সুমন মিয়া বলেন, ‘চোখের পলকে যেন ঘটে গেল সবকিছু। আমার সব শেষ হয়ে গেল! ছেলেকে নিয়ে আমি টোলে টাকা দিচ্ছিলাম। ওই সময় পেছন থেকে একটি বাস এসে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। আমি চোখের সামনে দেখলেও কিছু করতে পারেনি। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিল বাসচালক! আমি ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হন।

আরও পড়ুন

×