ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কোরবানির পশুর হাট 

ফুলবাড়ীতে গরুর দামে হতাশ খামারি

ফুলবাড়ীতে গরুর দামে হতাশ খামারি

ছবি: সমকাল

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫ | ২০:০৯

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উপজেলার বিভিন্ন হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। চাহিদার চেয়ে বেশি পশু থাকায় এবার গরুর দাম কম বলে হতাশ খামারিরা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় এ বছর পশুর চাহিদা রয়েছে ১২ হাজার ৬১৩টি। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৯৮টি পশু। এর মধ্যে বেশির ভাগই দেশি জাতের গরু-ছাগল।

স্থানীয় খামারিদের ভাষ্য, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি জাতের গরু পালন করেছেন। পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ভালো দাম না পেলে তাদের লোকসানে পড়তে হবে। ঈদের আগে দেশের বাজারে যাতে ভারতীয় গরু প্রবেশে না করে, এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি করেছেন তারা।

উপজেলায় আটটি পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে বারাই হাট, আমডুঙ্গি হাট, মাদিলা হাট, আটপুকুর হাট ও পৌরসভা পরিচালিত পশুর হাটে ক্রেতার বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে পছন্দের পশু কিনছেন তারা। কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরুর দাম নিয়ে তারা খুশি নন। প্রত্যাশার চেয়ে কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের স্বজন পুকুর গ্রামে আমিন এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের লোকজন। খামারের মালিক রুহুল আমিন জানান, এবার দেশিসহ ক্রশ ব্রাহামা, শাহিওয়াল, নেপালি, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন উন্নতজাতের ১১০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তত করেছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসছেন। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ গরু বিক্রি হয়েছে।

ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে দেশে যেন ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ না ঘটে, সে জন্য বিজিবি সতর্ক রয়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সারোয়ার হাসান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ও প্রাকৃতিক উপায়ে পশু পালন এবং বাজারজাতকরণে খামারিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় চাহিদার চেয়েও ৩ হাজার ১৮৫টি পশু বেশি রয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। 

আরও পড়ুন

×