সেই হিরো-ভিলেন বিক্রি না হওয়ায় বিপদে খামারি

গাইবান্ধার আলোচিত গরু হিরো ও ভিলেন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫ | ২০:৪৩
গাইবান্ধার আলোচিত গরু হিরো ও ভিলেন গত বছরের মতো এবারও বিক্রি না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপযুক্ত ক্রেতা না পাওয়ায় বিপদে পড়েছেন খামারি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মাওয়াগারিতে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বিশালদেহী গরু দুটিকে। সাদা রঙের হিরো প্রায় সাড়ে ৮ ফুট লম্বা এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। ওজন প্রায় ২৩ মণ। অপরদিকে কালো রঙের ভিলেন প্রায় ৯ ফুট লম্বা। প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ভিলেনের ওজন ২৫ মণ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় গরু দুটিকে স্থানীয় হাটে তোলাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন গরু দুটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক লোকজন শহিদুল ইসলামের খামারে আসছেন। দু-একজন ক্রেতা এলেও এত বড় গরু দেখেই ফিরে যাচ্ছেন।
বিপুল অর্থ বিনিয়োগ ও কষ্টে লালন-পালন করা হিরো ও ভিলেনকে বিক্রি করতে না পেরে হতাশ শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, এবারও গরু দুটির ব্যাপারে ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, ২০২১ সাল থেকে গরু দুটি মোটাতাজা করছেন তিনি। দানাদার খাবারের পাশাপাশি ধানের কুড়া, আলু, ভুসি, ছোলা বুট ও সবুজ ঘাস খাওয়ান। এতে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয় হয়। গরু দুটির লালন-পালনে প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন।
শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শাহেলা বেগম বলেন, গরু দুটিকে পরিবারের সবাই ভালোবাসে। তাদের সন্তানের মতোই লালন-পালন করেছেন। নিজেরা অনেক সময় ভর্তা-ভাত খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। কিন্তু হিরো-ভিলেনকে কখনও খাবারের কষ্ট দেননি।
গরু দুটি বিক্রি না হওয়ায় আক্ষেপ করছেন এলাকাবাসী। তাদের ভাষ্য, শহিদুল ইসলাম গরু দুটি লালন-পালন করতে বিপুল টাকা খরচ করেছেন। এ বছরও যদি বিক্রি না হয়, তবে অনেক টাকা লোকসান হবে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গরু দুটি বিক্রির জন্য তারা চেষ্টা করছেন। এ জন্য অনলাইনে প্রচার ও বিভিন্ন পাইকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বড় গরু বিক্রি করতে না পারলে খামারি বড় গরু পালনে আগ্রহ হারাবে। এতে ভবিষ্যতে মাংসের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।