ফেনীতে সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামের পথে ‘বন্দর রক্ষার দাবিতে’ রোডমার্চ

ফেনী সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ১৭:৩৫ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫ | ১৭:৩৭
জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চার দাবিতে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের ব্যানারে ঢাকা থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ ফেনীতে সমাবেশ শেষে চট্টগ্রাম রওনা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার দুপুরে ‘বন্দর বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’, ‘চুক্তির নামে দেশ বিক্রি, চলবে না চলবে না’, ‘মা-মাটি-মোহনা বিদেশিদের দেব না’, ‘স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি, বাতিল কর, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন তারা।
এ সময় বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ নের্তৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত পথে হাঁটছে। দেশকে সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দেওয়া এই সরকারের দায়িত্ব হতে পারে না। অবিলম্বে বিদেশি শক্তির কাছে বন্দর ইজারা বা করিডর দেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বক্তব্যে বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এলেও তারা এখন সেই আকাঙ্ক্ষার বিপরীত পথে হাঁটছে। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে একের পর এক চুক্তি করছে। জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এই আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধাচারণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে করিডোর দিতে ও বন্দর ইজারা দিতে চাইছে, যা দেশের জন্য বিপজ্জনক। চুক্তির নামে দেশবিরোধী কোনো চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
এর আগে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে দুই দিনের ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড মার্চ শুরু করেন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের ব্যানারে বামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোডমার্চটি নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা অতিক্রম করে রাত সাড়ে এগারটার দিকে ফেনীতে এসে পৌঁছায়। ফেনী শহরের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে তারা দাউদপুল ব্রিজের পাশ থেকে পরিবহনে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। এতে প্রগতিশীল বাম গণতান্ত্রিক জোট ও দেশপ্রেমিক শক্তির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।