ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বালু উত্তোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লায় গোমতীর ২৯ ঘাট অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

কুমিল্লায় গোমতীর ২৯ ঘাট অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা-সমকাল

কুমিল্লা সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ০৯:৫৪

কুমিল্লায় গোমতী নদীর পাঁচটি ঘাট অবৈধভাবে ইজারা নিয়েছেন মাহবুবুর রহমান নামে এক ঠিকাদার। অবৈধভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নেওয়া ওই পাঁচটি ঘাট (বালুমহাল) দেখিয়ে এখন মোট ২৯টি ঘাট দখল করেছেন তিনি। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গোমতী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মেসার্স রিফাত কনস্ট্রাকশনের মালিক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১১ জুন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন গোমতী নদীর বালুমহালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আমি ওই ইজারার দরপত্রে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মেসার্স এম রহমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহবুবুর রহমান এক কোটি ৫৬ লাখ টাকা দর দিয়ে প্রথম হন এবং পাঁচটি বালুমহালের ইজারা নেন। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় তিনি ইজারা নিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স তিন-চার বছর ধরে নবায়ন নেই। ২০১৪ সাল থেকে তিনি কোনো আয়কর দেননি। গত ২০ জুন দরপত্র খোলার পরপরই আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়ে তার শিডিউলটি অবৈধ ঘোষণার দাবি করেছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে জেলা প্রশাসন অভিযোগ আমলে না নিয়ে গোপনে বৈঠক করে তাকে সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত করেছে, যা আইন পরিপন্থি ও অবৈধ প্রক্রিয়া। সর্বশেষ এ ঘটনায় আমি গত ১৯ জুলাই উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। এরপর উচ্চ আদালত ওই ইজারা প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রমের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন, যা এখনও বহাল রয়েছে।

আরফানুল হক রিফাত আরও বলেন, মাহবুবুর রহমান পাঁচটি ঘাট ইজারা দেখিয়ে ২৯টি ঘাট দখল করেছেন। সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সৈয়দ মো. সোহেল, পাঁচথুবী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু প্রমুখ।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি জেলা প্রশাসনের সব নির্দেশনা মেনেই বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় কোনো মন্তব্য করব না। আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন।



আরও পড়ুন

×