ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

সেফ হোম থেকে পালালেন ৩ তরুণী ও এক কিশোরী

সেফ হোম থেকে পালালেন ৩ তরুণী ও এক কিশোরী

মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন

ফরিদপুর অফিস

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৩:২৪

ফরিদপুরে সেফ হোম থেকে তিন তরুণী ও এক কিশোরী পালিয়ে গেছেন। শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১২টা পর্যন্ত ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও পালিয়ে যাওয়া ওই নিবাসীদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

সেফ হোমটির নাম ‘মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন’। সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত এ সেফ হোমটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকায় সোহরাওয়ার্দী লেকপাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।

সেফ হোম সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ৭২ জন নিবাসী ছিলেন। এরমধ্য থেকে চারজন শুক্রবার ভোরে গ্রিল ভেঙে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান। ওই সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন।

পালিয়ে যাওয়া কিশোরী ও তরুণীরা হলেন- রাজবাড়ীর আদালত থেকে আসা সোনালী আক্তার (২১), রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে আসা আলিসা (২০), গোপালগঞ্জ থেকে আসা ময়না (১৮) এবং শরীয়তপুর থেকে আসা আছিয়া (১৭)। তারা সবাই ভবঘুরে হিসেবে উল্লিখিত। জেলা ও উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে এ সেফ হোমে ছিলেন।

তাদের মধ্যে আলিসা ছিলেন ২০১৫ সাল থেকে। বাকিরাও তিন-চার বছর ধরে ছিলেন। তাদের আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় আদালত তাদের সেফ হোমে পাঠান।

সেফ হোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রুমানা আক্তার বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তাদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি তারাও কাজ করছেন।

ফরিদপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী আহসান বলেন, সেফ হোমে জেলখানার মতো ১৮ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর ও মোটা গ্রিল ছিল না। গ্রিল ছিল সরু এবং সীমানা প্রাচীর ছিল ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। তবে ফরিদপুর সেফ হোম থেকে কোনো নিবাসীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পালিয়ে যাওয়া নিবাসীদের উদ্ধারে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে।

আরও পড়ুন

×