দাতাদের জাতিসংঘ মহাসচিব
উন্নয়নের ইঞ্জিন পুনঃসচলে বিশ্বে সাহায্য বৃদ্ধি করুন
৮০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রতিদিন জীবন চালাচ্ছে ৩ ডলারেরও কম অর্থে: অক্সফাম

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ০৭:৫৬
জলবায়ু বিশৃঙ্খলা এবং বিশ্বজুড়ে সংঘাতের মধ্যেও উন্নয়নের ইঞ্জিনকে পুনঃসচল করতে সাহায্য বৃদ্ধি করতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল সোমবার স্পেনের সেভিয়ায় চতুর্থ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়নবিষয়ক এক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব এমন এক সময়ে এই আহ্বান জানালেন, যখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলো বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সহায়তা বা অনুদান উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। অনুদান কমে যাওয়া বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইকে বিপন্ন করে তুলছে।
গত ৩০ জুন থেকে সেভিয়ায় শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও চার সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এই সম্মেলনের লক্ষ্য অনুদান সাহায্যের অভাবে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচন, স্বার্থ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন-সংশ্লিষ্ট সংকটে পড়া নানা প্রকল্পে নতুন গতি আনা।
আন্তোনিও গুতেরেস তাঁর ভাষণে জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই অর্জনের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। গুতেরেস বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর বিভিন্ন দেশে প্রকল্পগুলোয় ইউএসএইডের বাজেট কমানোর কথা। পাশাপাশি জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও সহায়তা খাতে কাটছাঁট করে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
অর্থ সংকটের ফলে শিশুরা টিকা পাচ্ছে না, মেয়েরা স্কুল ছাড়ছে, পরিবারগুলো না খেয়ে আছে। অসমতা, জলবায়ু বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা সংঘাতে কাঁপতে থাকা এই পৃথিবীতে টেকসই অগ্রগতি ততক্ষণ সম্ভব হয়, যতক্ষণ না পথ পরিবর্তন এবং উন্নয়নের ইঞ্জিন মেরামত না হয়। আর এর জন্য সহযোগিতার গতি বাড়াতে হবে– বলেন তিনি।
দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলেছে, ১৯৬০ সালের পর থেকে এবারই বিভিন্ন প্রকল্পে সবচেয়ে বড় অর্থ সহায়তা হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন তিন ডলারেরও কমে জীবন চালায়, যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি উপসাহারান আফ্রিকায় পড়ছে। খবর এএফপির।
- বিষয় :
- জাতিসংঘ
- জাতিসংঘ মহাসচিব