এএফসি লাইসেন্সের জন্য ৯ ক্লাবের আবেদন

ছবি: ফাইল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২০ | ১২:০০ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২০ | ০৩:৪৮
প্রতি মৌসুমে এএফসি কাপে বাংলাদেশ থেকে দুটি দল অংশ নিয়ে থাকে। ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের পরের আসরে খেলা নিশ্চিত। কোন ক্লাবটি দ্বিতীয় দল হিসেবে খেলবে এশিয়ান ক্লাব কাপের এই আসরে খেলবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বাতিল হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলটিই খেলবে এএফসি কাপে।
এখন লিগ বাতিল হওয়ায় বাফুফে পড়েছে বেকায়দায়। যেহেতু এবারের মৌসুমে শুধু ফেডারেশন কাপ হয়েছে তাই রানার্সআপ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির খেলার কথা এএফসি কাপে। কিন্তু পুরান ঢাকার ক্লাবটির নেই এএফসি লাইসেন্স। আর এএফসির লাইসেন্সকৃত ক্লাবগুলোর মধ্য থেকেই বাফুফে দ্বিতীয় একটি দলকে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
সেই দ্বিতীয় দলটি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে পেশাদার লিগের নয়টি ক্লাব। এএফসির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, রহমতগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং উত্তর বারিধারা ক্লাব। প্রিমিয়ার লিগের ১৩টি ক্লাবের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম আবাহনী এএফসি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি।
করোনার কারণে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমের ইতি টানা বাংলাদেশ সম্পর্কে অবহিত এএফসি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। যেহেতু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ হয়নি, তাই ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া দলের খেলার কথা এএফসি কাপে। কিন্তু বসুন্ধরার ক্লাব লাইসেন্স থাকলেও রহমতগঞ্জের নেই। তাই ২০২১ সালের জন্য এএফসি লাইসেন্সিংয়ের কথা বললে বাফুফে প্রিমিয়ার লিগের ১৩ দলকেই চিঠি দিয়েছিল। বুধবার ছিল আবেদনের শেষ দিন। ৯টি ক্লাব এবার এএফসি লাইসেন্সিং করার আগ্রহ প্রকাশ করে বাফুফের কাছে আবেদন করেছে।
এখন এএফসির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেই যে এএফসি কাপে খেলতে পারবে তা কিন্তু নয়। ক্লাবগুলোর প্রস্তুতিরও ব্যাপার আছে। যে ক্লাব ভালো দল গঠন করে সেরা প্রস্তুতি নিতে পারবে সেই দলকে বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানায় বাফুফে। এ ছাড়াও এএফসির লাইসেন্স করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে সমঝোতার মাধ্যমেও দ্বিতীয় দল নির্বাচন করতে চায় ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।