ইসলামী আন্দোলন

সংস্কার, বিচার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শনিবার সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে আয়োজনের প্রথম পর্ব। এতে বক্তব্য দিচ্ছেন সারাদেশ থেকে আসা জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা।

সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি নিয়ে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন। আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেওয়া দলটির যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বলছে ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে’।

বিএনপির পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং চরমোনাইর পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও বিভিন্ন দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে। গতকাল বুধবার এবি পার্টি এবং এনসিপির সঙ্গে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনায় বসে ইসলামী আন্দোলন। এর আগে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বাংলামটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে বৈঠক করে এনসিপি। 

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র চেয়ে করা মামলাটি গ্রহণযোগ্য হবে কিনা- আদালত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে আরও এক দফা তারিখ পুনর্নিধারণ করলো।

বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। মেয়র পদে তাকে বিজয়ী ঘোষণার আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলাটি করেন তিনি। 

ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনসহ ১০ দফায় একমত হয়েছে বিএনপি ও চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছিলাম দেশে চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, মাস্তানি থাকবে না। মানুষ অধিকার ফিরে পাবে।

বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘ফ্যাস্টিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে। কিন্তু চিহ্নিত একটি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ দেশের শহিদদের সঙ্গে বেঈমানি করছে। তারা দেশের মানুষের আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই।