চুলের যত্ন

স্ট্রেট বা সোজা চুলের প্রতি অনেকেরই আগ্রহ আছে। তবে জন্মসূত্রে সবারই চুল স্ট্রেট নয়। এ কারণে অনেকেই চুল সোজা করতে স্ট্রেটনিং আয়রন ব্যবহার করেন। কিন্তু ঘন ঘন আয়রন ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে

বর্ষার মৌসুমে যখন তখন বৃষ্টি নামে। মাঝেমাঝে বৃষ্টির তোড় এতটা বেশি থাকে যে সঙ্গে ছাতা থাকলেও জামাককাপড়ের সাথে চুল ভিজে যায়। বৃষ্টির পানি লাগলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। তখনই চুল ঝরতে শুরু করে। বাড়ি ফিরে ভিজে চুল তোয়ালে দিলে মুছলেও চুলের আলাদা যত্ন জরুরি। 

অনেকেরই রাতে গোসলের অভ্যাস আছে। কেউ কেউ আবার রাতে  শ্যাম্পুও করেন চুলে। কিন্তু চুল না শুকিয়ে ভেজা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনতে পারে

চা পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই আছে । কেউ কেউ তো সারাদিনে কয়েক চা পর্যন্ত চা খান।  চা যে শুধুই আমাদের শারীরিক আরাম দেয়, ক্লান্তিও দূর তা নয়, রূপচর্চাতেও বেশ কাজে লাগে

বেশিরভাগ মানুষ চুল ধোয়ার জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। কেউ কেউ আবার চুল পরিষ্কার করতে সাবান ব্যবহার করেন। শ্যাম্পুতে অনেক ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা চুলের ক্ষতি করতে পারে। এটি চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ায়। চাইলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করেও বাড়িতে পাওয়া প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন

‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’– কবির এমন বাণী বলে দেয়, নারীর ঘন, কালো, লম্বা, নরম, পেলব, ঝলমলে চুল প্রশংসা কুড়িয়েছে যুগ যুগ ধরে। ঝলমলে সুকেশিনীতে সবার দৃষ্টি কাড়বে, এমন

গরমে শরীরের পাশাপাশি মাথার ত্বকও ঘামে। এর ফলে চুল ঝরা বাড়ে। গরমে ঘেমে আর্দ্রতা হারিয়ে চুল নির্জীব হয়ে পড়ে। মাথার ত্বকের ঘর্মাক্ত ভাব কমাতে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করেন

চুলের যত্নে তেল মালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের বৃদ্ধিতে এবং পুষ্টি জোগাতে তেল মালিশ বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

শীতে যাদের প্রচুর চুল পড়ছে তারা কুমড়ার বীজের তেল মাখতে পারেন। কুমড়ার বীজ যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি এর তেল চুলের জন্য ভালো। এই বীজের তেল চুল পড়া বন্ধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ক্রমশ নতুন চুল গজালে চুল হয় ঘন ও সুন্দর। 

শীতে চুল পড়া বেড়ে যায়। সেই সাথে মাথায় প্রচুর খুশকি হয়। বাজারের অনেক দামি তেল ও শ্যাম্পু ব্যবহার করেও চুল পড়া বন্ধ হয় না। যারা চুল পড়া বন্ধের কোনো দাওয়াই কিংবা তেল ব্যবহার করে উপকার পাচ্ছেন না, তারা বাসায় বানিয়ে নিন জিঞ্জার অয়েল তথা আদার তেল।