জুলাই ঘোষণাপত্র

জুলাই সনদ বা জুলাই ঘোষণা নিয়ে টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জুলাই ঘোষণাপত্র, প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর ভাষায় দায়ী করেছে এবং ঘোষণাপত্র না দেওয়ার ব্যর্থতার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনটি মাসব্যাপী ৩৬ দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।

জুলাই সনদ ঘোষণা দিতে সরকার ‘ব্যর্থতার পরিচয়’ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, সরকার যেহেতু বলেছিল সবার সঙ্গে ঐকমত্যের

সরকার ‘প্রতিশ্রুতি না রাখায়’ আগামী ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং দলীয় ইশতেহার পাঠ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ৫ আগস্ট ‘ছাত্রজনতার মুক্তি দিবস’ পালন করবে দলটি।

নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত ‘এপ্রিলের প্রথমার্ধে’ সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে এর পূর্বে জুলাই সনদ কার্যকর ও ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা, সেটা অবশ্যই দিতে হবে। এছাড়াও নির্বাচন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে হবে।

আগামী জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করে জাতির সামনে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এই সনদ হলো একটি সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের প্রতিশ্রুতি। ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা যেন এই সনদ বাস্তবায়ন করেন। সেই অঙ্গীকার তারা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। 

এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। এরপর যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তারা বাকিটা বাস্তবায়ন করবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আবারও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠিও পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া আগ্রহী যে কেউ সরাসরি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাহফুজ আলমকে যে কোনো মাধ্যমে লিখিতভাবে অভিমত জানাতে পারবেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে লিখিত অভিমত নেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত এই মতামত নেওয়া হবে। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঘোষণাপত্র ফলপ্রসূ করতে আরও আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিও গঠন করা হতে পারে।