বিজয়ের মাস

যুগে যুগে, দেশে দেশে বিজয়ীরাই ইতিহাস লিখে আসছে। বিজয়ীদের শৌর্যবীর্যের কথাই সেখানে থাকে; পরাজিতদের স্থান হয় ‘গাদ্দার’ তালিকায়। বিজয়ী আর বিজিতের মাঝে যে জনগণ, তারা শুধু বিজয়ীদের ইতিহাসই পায়; বিজিতের বা পরাজিতের বয়ান শোনার সুযোগ থাকে না।

গণতন্ত্র কখনগণতন্ত্র কখনও থাকতে পারে, আবার নাও পারে। কিন্তু চব্বিশের আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমা শাহীন বলেছেন, চব্বিশের আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানের ঔপনিবেশিকতা থেকে স্বাধীন হয়েছি। তিনি মনে করেন, একটি দেশের সরকার ফ্যাসিস্ট হতে পারে। গণতন্ত্র থাকতে পারে; আবার নাও পারে। ও থাকতে পারে, আবার নাও পারে। কিন্তু চব্বিশের আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়

পৃথিবীর সব জায়গায় রাজনৈতিক মতানৈক্য আছে। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয়েছে–  এক দল থাকলে আরেক দল নাই। আবার আরেক দল থাকলে আগের দল নাই। এটি  খুবই অগণতান্ত্রিক এবং সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা

ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ ও গণবিদ্রোহ বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠনের অধিকতর সুযোগ এনে দিয়েছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে রাষ্ট্র রূপান্তরের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে

যারা বিপ্লবকে ধারণ করে, যারা এই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তাদেরই ন্যায্য অধিকার রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার

নতুন নির্বাচন চাই আগামী বছরের শেষের দিকে। নির্বাচন বেশি দেরি করলে যারা ক্ষমতায় থাকবেন, তারা শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি নিন্দিত হবেন

আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। স্বাধীনতার চেয়ে বড় কিছু নেই। কিন্তু এ কথা বলতেই হবে, আমাদের পুরোনো চার মূলনীতি আগেও সুষ্ঠুভাবে অর্জিত হয়নি। নতুন বাস্তবতায়ও কতখানি হবে, তা নিয়ে হয়তো ভাবনার অবকাশ আছে। তবে আজকের পরিণতির পেছনে প্রধানত দায়ী গণতন্ত্রহীনতা

১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর, উত্তাল রণাঙ্গন। শুধু বিজয়ের অপেক্ষা। পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর তুমুল লড়াই। যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়। বিজয়ের খুব কাছাকাছি বাংলার মুক্তিকামী মানুষ।

‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,/ভয় নাই, ওরে ভয় নাই।/নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই...।’ ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতেছিল।

কোনো অন্তর্মুখী সৃষ্টিশীল ব্যক্তি যদি বলেন, তাঁর কোনো স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই, তবে সেটা চলে। স্বীকৃতি ছাড়াও ব্যক্তি তাঁর প্রাত্যহিক কল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু স্বীকৃতি ছাড়া রাষ্ট্রের চলে না। রাষ্ট্রের প্রয়োজন জনগণের স্বীকৃতি, বিশ্বের স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রাষ্ট্রকে পূর্ণতা এনে দেয়।