রপ্তানি বাণিজ্য

সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির গতি ছিল বেশ সন্তোষজনক। আগের অর্থবছরের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ২২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ঈদের ছুটি ছিল ১০

মার্কিন নতুন প্রশাসন অভ্যন্তরীণ শিল্প খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার যে কৌশল নিয়েছে তাতে রপ্তানি বাণিজ্যে লাভবান হবে বাংলাদেশ। আমদানি নিরুৎসাহিত এবং সম্পর্কে ভালো বনিবনা না থাকায় চীন থেকে

২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের মোট রপ্তানির ৫০ দশমিক ৩৪ শতাংশই গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যার মূল্য ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।  

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় কেটেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বড় একটা সময়। এতে রপ্তানি খাতে প্রয়োজনীয় কাঁচমাল আমদানি, উৎপাদনসহ সার্বিক রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে শ্রমঅসন্তোষ শুরু হয় সরকার পরিবর্তনের পর পরই। 

ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি আগস্ট মাসে ২৮ শতাংশ কমে গেছে। এ মাসে বাংলাদেশে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের আগস্টে ছিল ৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য দিয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা শ্রম অসন্তোষ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট এবং কখনও কখনও বন্দরের জট তো রয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কারফিউ জারির পটভূমিতে প্রায় সব শিল্প কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বেশি বেকায়দায় পড়েছে রপ্তানি খাত। সংকটের আগে উৎপাদিত রপ্তানি পণ্য ব্র্যান্ড-ক্রেতারা নিতে না পারায় সেগুলো কারখানা কিংবা বন্দরে পড়ে আছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রপ্তানি কমলেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে আসছিল সরকারি সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রপ্তানি কমেছে। ইপিবি এপ্রিল পর্যন্ত গত অর্থবছরের ১০ মাসে পণ্য জাহাজীকরণের ভিত্তিতে রপ্তানির যে তথ্য প্রকাশ করেছিল, প্রকৃত রপ্তানি তার চেয়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার কম। র

মার্চ পর্যন্ত টানা চার মাস পণ্য রপ্তানি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৭২ কোটি ডলার। সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে এসে সে ধারা ক্ষুন্ন হল। মাসটিতে রপ্তানির পরিমাণ ৩৯২ কোটি ডলরেরও কম, যা আগের মাস মার্চে ছিল ৫১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি কমলো ১১৮ কোটি ডলার।