নোয়াখালীতে অটোরিকশায় আগুন: ২ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দিয়ে পালানোর সময় দুই ব্যক্তিকে প্রথমে আটক করে পরে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার  করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার বাইপাস সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- উপজেলার কৌশল্যারবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির সিদ্দিক উল্যার ছেলে মো.মোস্তফা (৪০) কাঁঠালী গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো.রিন্টু (৫০)। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শনিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে  এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  এতে বলা হয়, শুক্রবার গভীর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার বাইপাস সড়কের পশ্চিম পাশে রক্ষিত সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে দুই ব্যক্তিকে আটক করে সোনাইমুড়ী থানা টহল  পুলিশ।  আটক দুইজনই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা।  

নোনাইমিুড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  কাজী আহসান উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ  ঘটনায় থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক  (এসআই)  শিপন বাদী হয়ে শনিবার সকালে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল প্রকাশ বাবু চেয়ারম্যান বলেন,বিএনপি আন্দোলনের নামে তাদের সেই আগুন সন্ত্রাসে ফিরে গেছেন। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামীলীগের কোন বাধা নেই, কিন্তু জ্বালাও,পোড়াও এবং মানুষের জানমালের ধবংসাত্মক কোন কাজ করলে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা তা প্রতিহত করবে। আওয়ামীলীগ  ধ্বংসাত্মক কোন কাজ করেনা। আর ওই কাজ করতে কাউকে দেবেওনা।

সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক পুলিশের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, শনিবার বিকাল ৩টায় সোনাইমুড়ীতে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। ওই সমাবেশকে পণ্ড করতে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয়  আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে সোনাইমুড়ী থানার ওসি সিএনজিতে আগুন দেওয়ার নাটক সাজিয়েছেন।আওয়ামীলীগের লোকজনই সিএনজিতে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। বিএনপি আগুন দিতে চাইলে রাতে কেন, দিনের বেলায়ই দিতে পারে।