জগন্নাথপুরে দু'পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিতে শিশু নিহত

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:০৪
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দু'জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সাব্বির মিয়া (১০) নবীগঞ্জের কামারগাঁও নগরকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। সে আলমপুর গ্রামে মামা ইজাজুল ইসলামের বাড়িতে থেকে সেখানকার একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মজনু মিয়া ও তার আপন ভাই খালেদ মিয়ার মধ্যে স্থানীয় কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বাসস্ট্যান্ডের জায়গা নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছে। ওই বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মজনু মিয়ার ছেলে নোমান আহমদ। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বিকেলে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈঠক বসে। বৈঠকে মজনু মিয়া উপস্থিত হননি। বৈঠকে বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার পদ থেকে মজনু মিয়ার ছেলে নোমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত জানাতে বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা আলমপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম, মমরাজ মিয়া গং মজনু মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় মজনু মিয়ার সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষকালে ঘটনাস্থলে শিশু সাব্বির দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে শিশু সাব্বির নিহত হয়। এ ঘটনায় আলমপুর গ্রামের আকরব আলী (২৭) ও মুজাম্মেল হোসেন (৩০) নামে আরও দু'জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত শিশুর মামা ইজাজুল ইসলাম জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আমরা মজনু মিয়ার বাড়িতে গেলে তিনি আমাদের গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে মজনু মিয়ার প্রতিপক্ষ গুলি করতে থাকে। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা আমার ভাগ্নে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ বিষয়ে মজনু মিয়া ও তার প্রতিপক্ষের বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত।
- বিষয় :
- জগন্নাথপুর
- সুনামগঞ্জ