কুমিল্লায় বিএনপির ১৭৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২২

কুমিল্লায় যুবদলের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ১৭৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল-মামুন। ২২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দের তালিকায় ৫৫টি ইটের টুকরা, ৩৭টি পাথরের টুকরা ও ১৪টি কাঁচা বাঁশের লাঠি দেখানো হয়েছে। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, ইফতারের সময় ঘটনাস্থলে এসবের কিছুই ছিল না, হামলাও হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, মঙ্গলবার কুমিল্লা টাউন হলের বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তনে যুবদলের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল বক্তব্য শুরু হলে বিপত্তি বাঁধে। এ সময় বক্তব্য প্রচার বন্ধ রাখতে আয়োজকদের বলা হয়। কিন্তু তার বক্তব্য বন্ধ না করে বিএনপি-যুবদল নেতাকর্মীরা পুলিশের কাজে বাধা দেন। এক পর্যায়ে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করেন তারা। এই অভিযোগে পুলিশের মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আশিক-উর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, বিএনপি নেতা রেজাউল কাইয়ুম, হাজী জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন। তাঁর ভাষ্য, যুবদলের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ-প্রশাসন থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের বক্তব্য চলাকালে বাধা দেয় পুলিশ। দলের প্রধান হিসেবে তারেক রহমান বক্তব্য দিলে পুলিশের সমস্যা হওয়ার কথা না। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় পুলিশের ওপর বাঁশ বা লাঠি নিয়ে আক্রমণের ঘটনা না ঘটলেও মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির জন্য মামলাটি করা হয়েছে।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ‘যুবদলের ইফতার অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়নি। দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিদেশে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করতে নিষেধ করে পুলিশ। এতে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ মামলায় গ্রেপ্তার ২২ জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’