ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সাভারে কৃষককে গলা কেটে হত্যা, ‘প্রেমিক’সহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

সাভারে কৃষককে গলা কেটে হত্যা, ‘প্রেমিক’সহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩ | ১৫:২৪ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৪৩

ঢাকার সাভারে অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় নুর ইসলাম ব্যাপারী (৫৫) নামের এক কৃষককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৬ জুন সাভারের সাদাপুরে হত্যার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও কথিত প্রেমিক মো. আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম। গ্রেপ্তার দু’জনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত পুরোনো তালা ও রক্তমাখা বঁটি জব্দ করে পুলিশ।

নিহত নুর ইসলাম ব্যাপারী ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের কুঠিরচর গ্রামের নেহাজ উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। সাভারের সাদাপুর পুরানবাড়ি এলাকার আক্কাস আলীর বাড়ি দেখাশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজ করতেন তিনি।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি টাঙ্গাইল সদরের কান্দিলা গ্রামে। তিনি সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর সাভারের সাদাপুর পুরানবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস আলী পেশায় কৃষিজীবী।

এএসপি (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৬ জুন রাতে সাদাপুর ভাঙা ব্রিজের পাশে অবস্থিত আক্কাস আলীর বাড়িতে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। তার মাথায় আঘাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির প্রথম পক্ষের বড় ছেলে আলিম ব্যাপারী বাদী হয়ে পরদিন ২৭ জুন সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোখলেছুর রহমান সন্দেহভাজন হিসেবে নুর ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেওয়া তথ্যে, ২৮ জুন কথিত প্রেমিক আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

সাভার মডেল থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন আব্বাস আলী। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। 

এএসপি জানান, ওই দু’জনের মধ্যে এক-দেড় বছর ধরে সম্পর্ক চলছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। বিষয়টি জানতে পেরে নুর ইসলাম বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার ছক কষা হয়। ২৬ জুন রাতে বাসায় ফেরার পর নুর ইসলামের মাথায় তালা দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন দ্বিতীয় স্ত্রী ও কথিত প্রেমিক আব্বাস।

আরও পড়ুন

×