ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাকৃবি মসজিদের ইমাম আটক

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:৫৪ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:৫৪
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষমোড় এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুফতি জালাল উদ্দিন বাকৃবির পেশ ইমামের দায়িত্বের পাশাপাশি একটি মহিলা মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে সেই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা এবং আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘মেয়েকে ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি কল্পনা করতে পারিনি ইমাম এমন কাজ করতে পারেন। এর আগে ইমামের স্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছিল আমার মেয়ে। তখন ইমামের স্ত্রী আমার মেয়েকে মারধর করেন। তারা আমার মেয়েকে আটকে রেখে বাসায় ফিরতে দিতেন না। আমরা মনে করেছিলাম পড়ালেখার জন্য হয়তো বাসায় আসছে না। দুই দিন আগে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় এলাকাবাসী জানতে পেরে ইমামকে আটকে রাখেন। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
ইমামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মহিলা মাদ্রাসা স্থাপন করে মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ, দোকানে বাকি খেয়ে টাকা না দেওয়া, সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটানোর অভিযোগ তুলেছেন মসজিদের মুসল্লিরা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একটি অভিযোগপত্র মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে দেওয়া হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ বলেন, ‘ইমামের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু সেটি লিখিত না হওয়ায় আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তিনি ইমামতি করতে পারবেন না।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল জানান, ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ডায়েরি) দিয়েছেন মাদ্রাসার এক ছাত্র। অভিযোগের ভিত্তিতে জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল আউয়াল জানান, কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামকে আটকের বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে আটক করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া দরকার। কিন্তু ইমামকে আটকের বিষয়ে পুলিশ অনুমতি নেয়নি।