খুলনায় আলোচিত রহিমা বেগম ‘অপহরণ’ মামলা
সিআইডির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ, ৬ আসামিকে আদালতের অব্যাহতি

রহিমা বেগম। ফাইল ছবি
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪ | ১৭:৫৫
খুলনায় আলোচিত রহিমা বেগমকে কথিত অপহরণ মামলায় সিআইডির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৬ আসামিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জামিরুল হায়দার সোমবার সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আইনজীবীরা জানান, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাতে নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এ ঘটনায় পর দিন তার মেয়ে আদুরি আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় পুলিশ তাদের প্রতিবেশী মো. মহিউদ্দিন ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়া, নুরুল আলম জুয়েল ও তার ভাই রফিকুল আলম পলাশ, হেলাল শরীফ ও রহিমার তৃতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে।
রহিমা বেগমের কথিত নিখোঁজের পর তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, পোস্টারিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মাকে ফিরে পেতে মরিয়ম মান্নানের আহাজারি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমা বেগম অপহরণের নাটক সাজান। তিনি নিজেই আত্মগোপন করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান এবং আরেক মেয়ে ও মামলার বাদী আদুরি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
পরে বাদী ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে আদালতে নারাজি পিটিশন দেন। এরপর আদালত সিআইডিকে মামলাটির পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। ১৭ জুলাই সিআইডি মামলাটির পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল।
- বিষয় :
- খুলনা
- অপহরণ মামলা
- পিবিআই
- সিআইডি