শেরপুরে বন্যায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত, ৪ জনের মৃত্যু

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি: সমকাল
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:৪৭ | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ০৭:৪৭
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড়শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের ডুবে শুক্রবার নালিতাবাড়ীতে বৃদ্ধ ও নারীসহ তিনজন এবং রাতে ঝিনাইগাতীতে একজন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী মারা গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে। তিন উপজেলায় এখনো অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ।
ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর মহারশি ও ভোগাই নদীর অন্তত ১০ জায়গায় বাঁধ ভেঙে ও পাড় উপচে প্লাবিত গ্রামের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও আবাদ তলিয়ে গেছে।
আজ শনিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী, কর্ণঝোড়া, মহারশী, ভোগাই ও চেল্লাখালীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত ২০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং দেড় হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে বন্যাকবলিত বেশ কিছু এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, আমরা তিনটি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করছি। সঠিক হিসাব আগামীকালকের মধ্যে দেওয়া হবে। তবে ঝিনাইগাতী সদর, নলকুড়া, গৌরিপুর এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া এবং নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নের সব মৎস খামার তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলার তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। দুর্গতদের উদ্ধারে শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। নতুন নতুন যেসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আমরা তার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পাশপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণেও কাজ করা হচ্ছে।