পুলিশ বন্ধুর সহায়তায় স্ত্রীকে খুন করেন প্রবাসী স্বামী, গ্রেপ্তার ৩

আমেনা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ০১:৩৯ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ০১:৫২
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আমেনা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় আমেনার স্বামী ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- নগরের ডবলমুরিং থানার সুলতান আহমেদের ছেলে জাহেদ নাবিদ, মো. সোহেল ও আনোয়ারার বৈরাগ এলাকার ইরফান হোসেন। তাদের মধ্যে ইরফান বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল। তিনি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিদেশে পলাতক ইয়াসিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ৩ অক্টোবর আনোয়ারার বৈরাগ এলাকার চায়না ইকোনমিক জোন অফিসের পূর্ব পার্শ্বে একটি পাহাড় ঘেরা পরিত্যক্ত ব্রিকফিল্ড থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, খুন হওয়া গৃহবধূ আমেনার স্বামী ইয়াসির আরাফাত গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফোন করে নাহিদকে জানান দুবাই থেকে এসেছেন। ১ অক্টোবর রাতে ইয়াসির আমেনাসহ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্ধু ইরফানের বাড়িতে যান। আমেনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের সংসারে দুই সন্তান ছিল। প্রবাসী ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেই সংসারে একটি সন্তান আছে। কিন্তু ইয়াসিরের পরিবার আমেনাকে মেনে নেয়নি। এ কারণে আমেনাকে নগরের বাকলিয়ার তক্তারপুল এলাকায় একটি বাসায় রাখতেন। ইয়াসির দুবাইপ্রবাসী। কিছুদিন আগে তিনি দেশে আসে। স্ত্রী আমেনাকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করেন। পরে সেটি আমেনা জানতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থেকে তাকে হত্যা করা হয়।
মামলার বাদী আমেনার বাবা কামাল উদ্দিন জানান, মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার স্বামী বন্ধুদের সহায়তায় হত্যা করেন। তাকে বিদেশ থেকে গ্রেপ্তার করে এনে ফাঁসি দেওয়ার দাবি করছি।
- বিষয় :
- চট্টগ্রাম
- হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
- পিবিআই