বিমানের দুবাইফেরত উড়োজাহাজ জব্দ

চোরাচালানের স্বর্ণ উদ্ধারের পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ জব্দ দেখিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে বিমানটি দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একটি আসনের নিচ থেকে দুই কেজির বেশি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। যাত্রী নামিয়ে বেলা ১১টার দিকে বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর বিকেলে বিমানটি জব্দ দেখানো হয়। 

জব্দ অবস্থায় বিমানটি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিনহাজ উদ্দিন সমকালকে জানান, এটি ডকুমেন্টারি সিজ (কাগজে কলমে জব্দ)। এ ঘটনায় বিমানের কেউ জড়িত কিনা, নিরাপত্তা গাফিলতি ছিল কিনা, বিমানের ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ, তল্লাশিসহ বিভিন্ন তথ্য পেতে এ ধরনের জব্দ করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানও জবাবদিহির আওতায় আসবে। আর আবেদনের মাধ্যমে জিম্মায় নিয়ে বিমান বাংলাদেশ উড়োজাহাজটি চালাতে পারবে। 

শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে সকালে শাহ আমানতে অবতরণের পর বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালান জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা। এ সময় ৯-জে নম্বর যাত্রীর আসনের নিচে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে রাখা ২০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। ২৪ ক্যারেটের দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের ওই স্বর্ণের আনুমানিক বাজার দর ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার আতিয়া সামিয়া নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওশান গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি নামের একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী বলে জানিয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। 

এই কর্মকর্তারা জানান, আসনের নিচে যেভাবে স্বর্ণের বারগুলো রাখা হয়েছিল, তা বিমানের কারও সহায়তা ছাড়া যাত্রীর পক্ষে রাখা সম্ভব না। তাই তদন্তের স্বার্থে কাস্টমস আইনে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। 

এর আগে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ জব্দের ঘটনা ঘটেছে। তবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান জব্দের ঘটনা এটিই প্রথম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।