ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

নথি জালিয়াতির দুর্নীতি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক জেলা জজ, ডিসিসহ ৫ জনের বিচার শুরু

নথি জালিয়াতির দুর্নীতি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক জেলা জজ, ডিসিসহ ৫ জনের বিচার শুরু

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ১৫:৪৬

কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের জজ মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলার নথি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়।

আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, দুদক ও আসামিপক্ষের শুনানির পর আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দিয়ে ওই দিন মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। ৩ আগস্ট পর্যন্ত আসামিদের অর্ন্তবতী জামিন মঞ্জুর করেছেন।

জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলাটি করেছিলেন। এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং আদালতের  স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদকে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অর্ন্তবতী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন

×