ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পৌনে ২ কোটি টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পৌনে ২ কোটি টাকা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ-মাদ্রাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনায় অংশ নেন। ছবি: সমকাল

কিশোরগঞ্জ অফিস

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২০ | ০৮:৩৬ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২০ | ০৮:৪৯

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গেছে। এটি দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।

শনিবার সকাল ১০টায় দানবাক্স খোলার পর গণনা শেষে বিকেলে টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। এর আগে ২০১৯ সালে দানবাক্স থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া যায়।

সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার ছয় মাস ৭ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়।

সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এর পর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ-মাদ্রাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় পাগলা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দীন ভুঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সে জন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এসে এখানে দান করে থাকেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল সীমিত এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন

×