প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর চুল কেটে দিলেন স্বামী

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:০৯
ভোলায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে চুল কেটে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত সোমবার সকালে বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন খাদিজা নামের ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত স্বামী সাইফুল ইসলাম বোরহানউদ্দিনের দারুস সুন্নাত মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক।
জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলার লেজপাতা গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের মেয়ে খাদিজার সঙ্গে আট মাস আগে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামের সাইফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাইফুলের কর্মস্থল বোরহানউদ্দিনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন ওই দম্পতি। বর্তমানে খাদিজা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
খাদিজার অভিযোগ, আগে থেকেই তার স্বামীর অন্য এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য মারধরও করা হয় তাকে। সর্বশেষ সোমবার সকালে সাইফুল খাদিজাকে মারধর করে তার মাথার চুল কেটে আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং তাকে ঘরে রেখে বাইরে তালা দিয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বের হয়ে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন।
খাদিজার মা মনোয়ারা বেগম ও চাচা কয়সার আহম্মেদ জানান, মেয়েকে তারা অনেক কষ্ট করে মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন। আলেম ছেলে দেখে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এমন অমানবিক আচরণ তারা মানতে পারছেন না।
এদিকে পুত্রবধূকে নিতে এসে হতবাক হন সাইফুলের বাবা তৈয়বুর রহমান। বুধবার দুপুরে খাদিজাদের বাড়িতে বসে তিনি জানান, ছেলে তাকে বলেছে, খাদিজা রাগ করে চলে এসেছে। কিন্তু এসে পরিস্থিতি দেখে ছেলের এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার চেয়েছেন তিনি।
সকাল থেকে অভিযুক্ত সাইফুল আত্মগোপনে রয়েছে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতনের শিকার নারীকে নিয়ে
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেছে। তাদের বাড়ি দৌলতখান থানায় হলেও ঘটনা ঘটেছে
পাশের বোরহানউদ্দিন থানায়। ওই থানার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হচ্ছে।
- বিষয় :
- ভোলা
- গৃহবধূকে নির্যাতন