কেশবপুরে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

সারাফাত হোসেন সোহান
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২১ | ০১:২৫
যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা প্রদান কালে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান (২৫) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সারাফাত হোসেন সোহান কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।
এ ঘটনায় সোহানের চাচা আবুল কালাম আজাদের দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান বালিয়াডাঙ্গা এলাকার দাউদ গাজীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে দুপুরের দিকে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকরা বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেল্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ৪৫০ টাকা করে সরকারি সহায়তা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদের ভাতিজা ও ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান গুরুতর আহত হলে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তিনি মারা যান।
সোহানের মৃত্যুর খবরে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাতেই ওই এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে আহত সোহান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।