ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবি সাঁওতালদের

ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবি সাঁওতালদের

মানববন্ধন চলাকালীন একটি চিত্র

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৮:৫৪ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৮:৫৪

ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে শনিবার সকালে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকেরা। 

গাইবান্ধা ডিবি রোড গানাসাস মার্কেটের সামনে বেসরকারি সংগঠন জনউদ্যোগ ও অবলম্বনের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আয়োজিত হয়। শতাধিক আদিবাসী তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, পরিবেশ আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বাবুল রবিদাস, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, মার্কসবাদী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মৃণাল কান্তি বর্মণ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, জেলা রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আদিবাসী নেত্রী তৃষ্ণা মুর্মু, ব্রিটিশ সরেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশে আদিবাসীদের নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। ৪৫টির মতো আদিবাসী গোষ্ঠীর ২০ লাখেরও বেশি শিশু ভুলতে বসেছে তাদের নিজস্ব ভাষাগত ঐতিহ্য, লোকগাথা, প্রবাদ-প্রবচন। মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় তাদের সংস্কৃতিও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত।

তারা বলেন, একটি শিশুর স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও মেধার বিকাশ হয় তার মাতৃভাষার মধ্য দিয়ে। তাই আদিবাসী শিশুদের এ দেশে সাধারণভাবে শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা হতদরিদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা ও নিজ ভাষার বর্ণলিপি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু চর্চার অভাবে এসব বর্ণমালার সবই এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের আদিবাসীরা নিজ ভাষায় কথা বলতে পারলেও নিজস্ব ভাষায় তারা একেবারে নিরক্ষর। তাই আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক, জেলায় আদিবাসী কালচারাল একাডেমি প্রতিষ্ঠাসহ তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

আরও পড়ুন

×