'পরীর সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্ক,ব্যক্তিগত বিষয়ে কখনো মাথা ঘামাইনি'

পরীমণির সঙ্গে কেবল কাজের সম্পর্ক বলে মন্তব্য  করেছেন নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। কাজ করতে গিয়েই  আলোচিত  এ নায়িকার সঙ্গে তার মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে উঠে বলেও জানান চয়নিকা। 

তিনি বলেন, ‘পরীমণির সঙ্গে আমার সম্পর্ক শুধুই কাজের ক্ষেত্রে। কাজ করতে গিয়ে ওর সঙ্গে অনেক সুইট এবং লাভিং  রিলেশন গড়ে ওঠে।’

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বেরিয়ে চয়নিকা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর পরপরই অবশ্য তাকে আটক করে ডিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়েও দেন।

আটকের আগে চয়নিকা আরও বলেন, ‘আমি পরীমণিকে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে দেখিনি। যদিও আমার আর ওর  কাজের সময়টা অল্প, শুধুমাত্র শ্যুটিংয়ের সময়টুকুই। ওর ব্যক্তিগত যা যা কিছু, তা ওর ব্যক্তিগত জায়গায় আছে। সেগুলো নিয়ে আমি কখনো মাথায় ঘামাইনি।’

পরীমণির বাড়িতে আসা-যাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তার বাসায় আসা-যাওয়া করতাম, সেটা সব সময় না। বোট ক্লাবের ঘটনার পর গিয়েছিলাম। তার ৪১ দিন পর আবার আমার সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। সেখানে (পরীমণির বাসায়) গেলে আমি এক-দেড় ঘণ্টা থাকতাম।’

পরীমণি ও রাজকে গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিষয়ে চয়নিকা বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি সবাই যেভাবে দেখছে, আমিও সেভাবেই দেখছি। যেহেতু বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চলে গেছে, সেহেতু এটা আইনিভাবে দেখা উচিত। এখন আমরা কোনো ধরনের কথা বলতে পারব না। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

চয়নিকা আরও বলেন, ‘আমি খুব পরিচ্ছন্ন মানুষ। আমি এমন কিছু করিনি যেটা কোনো ক্রাইম (অপরাধ) হবে। আমার মনটা যেহেতু পরিষ্কার, আমাকে ডাকলে যে কোনো কিছুতে গিয়ে তাদের উত্তর দিয়ে আসব। তাদের (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) প্রতি আমি অনেক শ্রদ্ধাশীল।’

এদিকে, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষে পান্থপথ থেকে বাসার পথে রওনা হন চয়নিকা। কিছু দূরে যেতেই সড়কে তার গাড়ি থামায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তাকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় ডিবি।

উল্লেখ্য, চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ৪শ'র মতো নাটকের নির্মাতা তিনি। নির্মাণ করেছেন  ‘বিশ্বসুন্দরী’ একটি সিনেমা। এই সিনেমার নায়িকা হিসেবে আছেন পরীমণি।