‘প্রস্তুতি ঘাটতির কারণেই লঙ্কা সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ’

ঘরের মাটিতে সিরিজ হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা পোশাকে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখ থুবড়ে পড়ে স্বাগতিকরা। সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মত। বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, প্রস্তুতি ছাড়া ফলাফল যা হওয়ার, তাই হয়েছে বাংলাদেশ দলের।

মিরপুরে একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের কথা যদি বলেন আমি মনে করি পুরোপুরি অপ্রস্তুত একটা দল ছিল বাংলাদেশ। ওইখানে যে সফলতা আসবে না এটা সবাই আমরা জানতাম। লাল বলের খেলা কঠিন। এটা এত সহজ না। ছেলেরা এখন আর নিয়মিত বাংলাদেশে লাল বলের খেলা হয় না। সাদা বলের রঙিন পোশাকেই খেলা হচ্ছে। লাল বলের চর্চাটা কমে যাচ্ছে।’

বিপিএলের পর লঙ্কানদের ওই সফরটা বাংলাদেশ শুরু করেছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। এরপর ওয়ানডে ও টেস্ট। কিছুটা বিরতির পর এখন চলছে ডিপিএল। স্বাভাবিকভাবেই লাল বলের ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিলেন ক্রিকেটাররা। এই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমরা বিপিএল, ডিপিএল শেষ করলাম। এরপর আমরা শ্রীলঙ্কার সাথে টেস্ট খেলি, আমাদের টেস্ট প্লেয়াররা কোথায় ছিল? ডিপিএলে খেলছিল। তাদের তো লাল বলে প্রস্তুত হয়নি। আপনি যদি প্রস্তুতি ছাড়া খেলেন তাহলে টেস্ট হারবেন খুবই স্বাভাবিক। সেটাই হয়েছে আসলে।’

টেস্টে এমন ভরাডুবির ক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের দায়ও দেখছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টের এখানে আরও ফোকাস করা উচিত ছিল। দুইটা টেস্ট ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের হোম কন্ডিশনে। টেস্ট প্লেয়ারদের অনেক আগেই ডিপিএল থেকে উঠিয়ে নেওয়া উচিত ছিল লাল বলের ট্রেনিংয়ের জন্য। কেন ওরা করেননি ওরা জানে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দেখে আমাদের লাল বলের দলকে বিবেচনা করলে হবে না। এটা আমাদের প্রস্তুতির অভাব। আশা করি বিসিবি থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে আমাদের লাল বলের প্লেয়াররা হয়ত প্রিমিয়ার লিগের পর একটা বিশ্রাম নিয়ে রাজশাহী বা বগুড়া চলে যাবে লম্বা ট্রেনিং ক্যাম্পের জন্য। অইটা যদি হয় তাহলে বলতে পারি সামনে যেসব টেস্ট ম্যাচ হবে সেখানে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’

বর্তমানে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৩ মে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।